১.
কার্লোস ভালদেরামা কি চিনেন? ওই যে সাদা কোঁকড়ানো ঝাকড়া চুলের ভালদেরামা? যার ফুটবলের প্রেমে মজেছিলেন স্বয়ং ম্যারাডোনা। আচ্ছা ভালদেরামাকে বাদ দিন। আন্দ্রেস এস্কোবারকে চিনেন নিশ্চয়ই। বিশ্বকাপে একটি আত্মঘাতী গোলের মাশুল যাকে দিতে হয়েছিলো জীবন দিয়ে৷ এই দুইজনের বাইরে গিয়ে ‘বেস্ট কলম্বিয়ান ফুটবলার‘ সার্চ দিলে গুগল হয়তো আপনাকে দেখাবে রেনে হিগুইতা কিংবা উইলিংটন অর্টিজের নাম। আর বাদ বাকীদের নাও চিনতে পারেন!
লাতিন ফুটবল শৈলীতে একটা সময় কলম্বিয়ার অবস্থান ছিল খুবই নাজুক। ১৯৬২ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার পর দ্বিতীয়বারের খেলার সুযোগ আসে ১৯৯০ মেক্সিকো বিশ্বকাপে। তারপর টানা আরো দুইবার। তখন কলম্বিয়াতে ভালদেরামার রাজত্ব। সেই ভালদেরামার বিদায়ের পর আবার অন্ধকারে কলম্বিয়া। সেইখান থেকে দেশটির ফুটবলকে উত্তরণ করে বর্তমানের এই সোনালি প্রজন্ম। যার ফল সর্বশেষ টানা দুই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ।

স্বর্ণযুগের কথা বলাতে পাঠকের মাথায় স্বভাবতই দুইটি নাম আসার কথা। রাদামেল ফ্যালকাও বা হামেস রদ্রিগেজ। ফ্যালকাও যদি হয়ে থাকেন কলম্বিয়ার গর্ব তাহলে হামেস আশার প্রদীপ। সেই আশার প্রদীপ ই কিনা নিভু নিভু করছে। হামেস কি পুরোপুরি নিভেই যাবেন নাকি জ্বলে উঠবেন আরেকবার।
২.
“Hit by James. Oh what a goal! One of the greats.” পিটার ড্রিউরির ধারাভাষ্য কি আপনার কানে বাজছে? উরুগুয়ের বিপক্ষে মারাকানায় টুর্নামেন্ট সেরা সেই গোল। হামেস তখন আকাশে উড়ছেন। গোল্ডেন বুট ও করেছিলেন বগলদাবা। ফুটবল বাজারে জোর গুঞ্জন রিয়াল মাদ্রিদ হতে যাচ্ছে তার পরবর্তী ঠিকানা। কিন্তু শুধুই এক বিশ্বকাপের ৫ ম্যাচ দিয়েই হামেসের বিশ্বজয়? বাধ সাধবেন তাতে হোসে মায়োরগা।
কে এই হোসে মায়োরগা? সময়টা ২০১০ সাল। মায়োরগা তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর স্কাউট দলের সদস্য। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতো। হামেসকে মায়োরগার চোখে পড়ে ২০১০ সালে। শুরু থেকেই বলা যায় হামেসের খেলার ভক্ত বনে যান তিনি। কিন্তু স্বয়ং স্যার আলেক্স ফার্গুসনের সায় মিলেনা। গড়নে কিছুটা হালকা পাতলা ও চেহারার মাঝেও ‘বেবিফেইস’ বিদ্যমান দেখে হামেসের ব্যাপারে সন্দিহান ছিল ক্লাবের মূল স্কাউট দল। প্রিমিয়ার লীগের দ্রুতগতির ফুটবলের সাথে তাল মিলাতে পারবেন না। এই ট্যাগ যখন স্বয়ং ফার্গুসন জুড়ে দিয়েছিলেন তখন আর এতকিছু ভাবতে হয়নি স্কাউট দলের। হামেসের চেয়ে তখন তাদের মনোযোগ গিয়ে পড়েছিল ডগলাস কস্তা ও মাইলসন এর দিকে (বর্তমানে ব্রাজিলের চতুর্থ বিভাগে খেলে থাকেন)।

অথচ কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব এনভিগাদোর হয়ে ১৪ বছর বয়সে মাঠে নামার কীর্তি গড়েছিলেন হামেস। কলম্বিয়ার ফুটবল ইতিহাসে যেটি কিনা অভিষেক হওয়া দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বয়স। ২০০৮ সালে যখন আর্জেন্টিনার ব্যানফিল্ডে খেলা শুরু করেন তখনই মায়োরগার চোখে পড়েন তিনি। ২ বছর ধরে নিজের প্রতিটি রিপোর্টে মায়োরগা হামেসের নাম লিখে এসেছিলেন। কিন্তু সদুত্তর মিলেনি। শেষমেষ ২০১০ এ হামেস রদ্রিগেজ নাম লিখান পোর্তো তে।
আপনি যদি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থক হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো আফসোস করছেন এই মূহুর্তে। তবে আপনি একা নন। সাথে যোগ দিতে পারেন বার্সেলোনা সমর্থকেরাও। বিশ্বকাপের পোস্টার বয় হওয়ার আগে বার্সেলোনাও ফিরিয়ে দিয়েছিল হামেসকে! কারণ? হামেসের যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান।
৩.
কলম্বিয়ার শহর ইবাগে। সেখানেই বেড়ে উঠা ছোট্ট হামেসের। আর দশজন ল্যাটিন ফুটবলারদের মতো দারিদ্র্যতার সাথে লড়াই করে কাটাতে হয়নি হামেসকে। মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া হামেসের ফুটবলটা ছিল জিনগতই। বাবা উইলসন খেলেছিলেন কলম্বিয়ার বয়সভিত্তিক দলে। সে সুবাদে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছেন উইলসন। পরবর্তীতে মা মারিয়া ও সৎবাবা জুয়ান কার্লোস এর অবদান ও অনস্বীকার্য।

অবশ্য শুধু অনস্বীকার্য বললে এক প্রকার অন্যায় হয়ে যায় হামেসের বাবা মা কিংবা সৎবাবার প্রতি। হামেসের প্রথম কোচের ভাষায় সেই ছোট্ট হামেসের জন্য ফিজিকাল ট্রেইনার থেকে শুরু করে পুষ্টিবিদ এমনকি সাইকোলজিস্ট ও নিয়োগ দিয়েছিলেন তার মা বাবা। চারপাশের বাকী সবাই এসব অপ্রয়োজনীয় বলে হাসাহাসি করলেও কখনো দমে যাননি হামেস ও তার বাবা মা। শেষ পর্যন্ত যে এত চেষ্টা বৃথা যায়নি সেটি এই মূহুর্তে আপনিও দ্বিধাহীন ভাবেই বলতে পারবেন।
কলম্বিয়ার দ্বিতীয় বিভাগের দল এনভিগাদোর কথা আগেই বলেছিলাম। তবে সেইখানে আসার আগে হামেসের ফুটবলের হাতেখড়ি পনি ফুটবল কাপ। যেই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট খেলেই আগমন হয়েছিল রাদামেল ফ্যালকাওয়ের। টলিমেন্স ক্লাবের অনুর্ধব ১৩ দলের হয়ে হামেস সেই টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে করেছিলেন ১৩ গোল। যার মধ্যে একটি ছিল ফাইনালে সরাসরি কর্ণার থেকে করা একটি গোল। কাকতাল ভাবে সেইদিন গ্যালারিতে বসেই ফাইনাল খেলা দেখছিলেন এনভিগাদোর মালিক গুস্তাভো লোপেজ। সেই বছরেই যে এনভিগাদো তে হামেসের আগমন তা হয়তো পাঠক এতক্ষনে ধরেও ফেলেছেন।

মাত্র ১৪ বছর বয়সে এনভিগাদো ফুটবল ক্লাবে অভিষেক হয় হামেসের; Image Courtesy: marca.com
এনভিগাদোর ফিলোসফি ছিল যখনই কোনো খেলোয়াড় মূল দলে খেলার উপযুক্ত হবে তার বয়স তেমন একটা ঢাল হয়ে দাড়াবেনা। তাই মাত্র ১৪ বছর বয়সেই হামেসের অভিষেক এনভিগাদোর হয়ে। সেই ম্যাচে বেশ ভালো খেলেন হামেস। সচরাচর কম বয়স্ক খেলোয়ারদের গতি বেশি থাকে। কিন্তু হামেসের এত গতি না থাকলেও তৎপড়তা ও বুদ্ধি ছিল ম্যাচিউর খেলোয়াড়দের মতোই। তাই সেই এক ম্যাচ দিয়েই হামেসের বাজিমাত!
৪.
ফুটবল এর বাইরে ততদিনে হামেসের বড় শত্রু মুখচোরা স্বভাব। বেশ চুপচাপ হামেসের জন্য এইবার তার বাবা মা নিয়োগ দিলেন স্পিচ থেরাপিস্টের। মুখচোরা স্বভাব অবশ্য ফুটবলের বাইরে বললে ভুল হবে। ফুটবল মাঠেও চুপচাপ স্বভাবের জন্য যতটা কার্যকরী হতে পারতেন ততটা ছিলেন না হামেস।
এরইমাঝে প্রায় সময় পত্রিকার হেডলাইন হতে শুরু করলেন হামেস। কারণ তার হাত ধরেই প্রথম বিভাগে আগমন এনভিগাদোর। কিন্তু এই ধারায় যতি টানলো এনভিগাদোই। এক মৌসুম পরেই ২০০৮ সালে আবার অবনমিত হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায় ক্লাবটি। হামেসের বাবা মা বেশ উদগ্রীব হয়ে উঠেন ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। হামেস কে দ্বিতীয় বিভাগে দেখতে চান না আর তারা।

পরবর্তীতে ক্লাবের হস্তক্ষেপে হামেস ১৬ বছর বয়সে যোগ দেন আর্জেন্টাইন ক্লাব ব্যানফিল্ডে।
ব্যানফিল্ডে যাওয়া হামেসের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ও কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। নিজের লাজুক ভাব কাটিয়ে অন্য এক দেশে নিজেকে চিনানোর জন্য এই সাহসী সিদ্ধান্তই হামেসকে এগিয়ে নিয়ে গেছে কয়েক ধাপ। ব্যানফিল্ড থেকে ২ বছরের মাথায় ইউরোপিয়ান ক্লাব পোর্তোয় আগমন৷ সেখান থেকে তিন বছর পর ২০১৩ সালে ফ্রেঞ্চ ক্লাব মোনাকোয়। মাঝে এই তিন ক্লাবের হয়ে হামেস খেলেছিলেন ১৩৯ ম্যাচ। গোল করেছেন ৩৯ টি। কিন্তু পোর্তোয় তিন মৌসুমে ২৫ গোল কিংবা মোনাকোয় এক মৌসুমে ৯ গোল হামেসকে যতটা না শিরোনামে এনেছে তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি লাইমলাইটে এনেছে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ!
৫.
২০১৪ বিশ্বকাপের পরের ঘটনা। হামেস এখন সোনার হরিণ। বড় বড় সব ক্লাবেরই হামেস চাই। সেই যুদ্ধে অবশেষে জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ। ৬৩ মিলিয়ন ইউরোর প্রাইসট্যাগ লাগিয়ে বার্নাব্যুতে আসাটাই হয়ে দাড়ালো হামেসের ক্যারিয়ার টার্নিং পয়েন্ট। সেই সময়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ দামে এই কলম্বিয়ানকে কিনেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ৪৫,০০০ দর্শকের সামনে বার্নাব্যুতে হামেসকে বরণ করে নেয় উচ্ছ্বসিত সমর্থকেরা।

র্লো আনচেলত্তির অধীনে প্রথম মৌসুমেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ভুলেননি। ২৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩ গোল ও ১৩ এসিস্ট। প্রতি ৮৮ মিনিটে একটি করে গোলে অবদান! কিন্তু কার্লোর বিদায়ের পর হামেসের বিবর্ণ রুপ বেরিয়ে পড়লো। তখন মাদ্রিদের ডাগ আউটে রাফা বেনিতেজ। নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে মোট ২৬ ম্যাচ খেলে করলেন ৭ গোল ও ৮ এসিস্ট। সাথে ৬১ টি সুযোগ তৈরী৷ আপনি হয়তো চমকাবেন এই পরিসংখ্যানেও হামেস বিবর্ণ কীভাবে?! কিন্তু হামেস নিজের উচ্চতা ততদিনে নিয়ে গিয়েছিলেন আকাশ ছোঁয়া।
রাফা বেনিতেজ শেষমেষ টিকেননি। তার ছেড়ে যাওয়া পদে বসলেন জিনেদিন জিদান। সেই মৌসুমে ইনজুরি থাকা সত্ত্বেও সব মিলিয়ে জিদানের অধীনে তিনি করলেন ১১ গোল আর ১২ এসিস্ট। যেটি কিনা লা লিগার যে কোনো মিডফিল্ডার থেকে বেশি ছিল। কিন্তু জিদানের সিস্টেমে ব্রাত্য হয়ে পড়লেন ধীরে ধীরে। উদ্ধারকর্তা হিসেবে আবারো আগমন কার্লো আনচেলোত্তির। ধারে বায়ার্নে নিজের কাছে হামেসকে নিয়ে আনেন আনচেলোত্তি। বায়ার্নে নিজের প্রথম মৌসুমে ২৩ ম্যাচ খেলে হামেস করলেন ৭ গোল ও ১১ এসিস্ট। লিগে সর্বোচ্চ ৬৪ সুযোগ তৈরীও এসেছে হামেসের পা থেকে। কিন্তু আনচেলোত্তির পর ডাগ আউটে আসা নিকো কোভাচ এর সিস্টেমে আবারো ব্রাত্য হামেস। ঘরে ফিরে সেই জিদানের চক্ষুশূল। আবারো ত্রাতা হিসেবে দৃশ্যপটে আগমন আনচেলোত্তির। আনচেলোত্তির হাত ধরে ছয় বছর পর বার্নাব্যু ছেড়ে গুডিসন পার্কে ফিরলেন হামেস। ফিরলেন পুরোনো হামেসের মতো করেই।

রিয়ালের জার্সিতে হামেস রদ্রিগেজ; Image Courtesy: indiatvnews.com
৬.
‘আমার নিজেরও সন্দেহ রয়েছে। আপনি যখন প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের কথা বলছেন সেখানে আছে গতি, তৎপরতা। আপনি সেখানে একটুও ছাড় পাবেন না। এমনকি নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়টুকুও পাবেন না, কাকে কিভাবে পাস দিবেন সে চিন্তা তো আরো দূরের কথা।’ বলছিলেন হুগো কাস্টানো।
ওহ আপনাদেরকে তো পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়নি হুগোর সাথেই। ২০০৬ সালে এই হুগোই ১৪ বছর বয়সী হামেসকে নামিয়ে দিয়েছিলেন মাঠে। কতটা বিশ্বাস থাকলে এই কাজ করা যায়! সেই হুগোই কিনা প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রিমিয়ার লিগে হামেস আদৌ টিকতে পারবেন কিনা। ভ্রু কুচকিয়েছিলেন এভারটন সমর্থকেরাও। তাদের প্রশ্ন ছিল হামেস এতই ভালো হলে মাত্র ২০ মিলিয়ন দিয়ে অন্য কোনো ক্লাব এখনো তাকে দলে ভেড়াচ্ছেনা কেনো?
কিন্তু এতকিছু শুনতে বয়েই গেছে আনচেলোত্তির। পুরোনো শিষ্যের জন্য ২০ মিলিয়ন খরচ করতে দ্বিধাবোধ করেন নি। জীবনে মাঝে মাঝে শুধু একজনের বিশ্বাস আঁকড়েই টিকে থাকা যায়। হামেস সেই জায়গাটাতেই পেয়েছিলেন আনচেলোত্তিকে। চারদিকের ফিসফাস আর সন্দেহ দূর করতে বেশি সময় নেননি। হোয়াইট হার্ট লেনে প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পুরোনো হামেস ফিরছেন।

৯০ মিনিট দাপিয়ে বেড়ে ম্যাচে সুযোগ তৈরী করেছিলেন সর্বোচ্চ ৫ টি। কি পাস ও দিয়েছিলেন সমান সংখ্যক। তবে সবচেয়ে বড় কথা সেই ম্যাচেই হামেস ফিরে পেয়েছিলেন হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস। কিন্তু সেই সুখ স্থায়ী হয়নি বেশিদিন। আনচেলোত্তি রিয়ালের ডাগ আউটে চলে গেলেন। সেখান থেকে হামেস আবারো হারালেন দলে জায়গা। শেষমেশ সুবিধা করতে না পেরে পাড়ি জমালেন কাতারি ক্লাব আল রাইয়ানে। দারুন প্রতিভা নিয়ে আসা হামেসে ইউরোপ ছাড়লেন মাত্র ৩০ বছরেই! একইসাথে জায়গা হারালেন কলম্বিয়া দলেও।
৭.
অন্যান্য লাতিন আমেরিকানদের মতো রাস্তায় ফুটবল আর মারামারি করে বড় হননি হামেস। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পেয়েছিলেন যথেষ্ট সহযোগিতা। এনভিগাদোর হয়ে আলো ছড়ালেও শুরুর দিকে ধোঁয়াশা ছিলো হামেসের ক্যারিয়ার নিয়ে। লাজুক হামেস এমনকি থেরাপিও নিয়েছিলেন নিজের অন্তর্মুখীতার জন্য। ‘হোম সিকনেস’ এর দোহাইকে পাশ কাটিয়ে যখন পাড়ি জমিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ব্যানফিল্ডে তখন থেকেই সুবাস ছড়ানো শুরু৷

খান থেকে পোর্তো, মোনাকো ও মাদ্রিদ ঘুরে হামেস এর ঘর এখন ইউরোপের বাইরেই। তবে হামেস চাইলে এখনো উড়াল দিতে পারেন ফিনিক্স পাখির মতো করেই। দেখিয়ে দিতে পারেন তিনিই ভালদেরামার যোগ্য উত্তরসূরী। কলম্বিয়া দলে ফিরে আসতে পারেন। পারেন ডিফেন্স চেরা পাস দিতে। দুর্দান্ত সব গোল করতে। তারপর সেই চিরচেনা লাজুক হাসিতে দৌড়ে কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে। কলম্বিয়ান সতীর্থ ইয়েরি মিনার সাথে উদযাপনে হয়ে যাবে হয়তো হালকা নৃত্যও। এইতো সেই পুরোনো হামেস! চিরচেনা হামেস রদ্রিগেজ।
Feature Image Courtesy: english.kyodonews.net