একটা সময় ছিল যখন আমরা শুধু একটা নাটক দেখার জন্য পরিবারের সবাই বিটিভির সামনে বসে থাকতাম। এরপরই আসলো স্যাটেলাইট টিভি বা ডিশ টিভি। বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে খেলার খবর থেকে শুরু করে সিনেমা, নাটক, টেলিফিল্ম সবই দেখা যেত মাসে একটি নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে।


বর্তমানে কিন্তু স্যাটেলাইট টিভি বা ডিশ টিভির জনপ্রিয়তাও কমে যাচ্ছে দিন দিন। নতুন নতুন বিনোদন মাধ্যমের সাথে পরিচিত হচ্ছে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে যে মাধ্যমটি সারা ফেলে দিয়েছে তা হলো ওটিটি প্লাটফর্ম। নেটফ্লিক্স, ডিজনী প্লাসের মত ওটিটি প্লাটফর্মগুলো তাদের সিরিজ কন্টেন্টের মাধ্যমের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমাদের দেশেও তাকদির, মহানগরের মত বিখ্যাত সিরিজগুলো মুক্তি পাওয়ার পর মানুষ এখন নতুন করে ওটিটি প্লাটফর্মের দিকে ঝুকছে। তাই এখন সময় এসেছে ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে আরো বিস্তারিত জানার।

ওটিটি প্লাটফর্মের কারণে টেলিভিশনের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে; Image Courtesy: broadcastandcablesat.co.in

ওটিটি প্লাটফর্ম কী?

OTT এর পূর্ণরূপ হলো Over The Top। অর্থাৎ যা সবকিছুর উপর দিয়ে যায়। ওটিটি প্লাটফর্ম বলতে এমন সব মাধ্যমকে বোঝায় যেগুলো কোনো রকম ঝুটঝামেলা ছাড়াই শুধু ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদেরকে বিখ্যাত সব সিনেমা, নাটক বা সিরিজগুলো দেখার সুযোগ করে দেয়। এক্ষেত্রে আমাদের আলাদাভাবে কোনো লোক নিয়োগ করে ক্যাবল আনতে হয় না এবং শুধু আমাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করেই যখন যেটা ইচ্ছা সেটা উপভোগ করা যায়।


পূর্বে আমাদের সিনেমা ও নাটক দেখার জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো। প্রথমে আমাদের একটি টিভির দরকার হতো, এরপর ডিশের সংযোগ দেয়ার জন্য ক্যাবল টিভির লোকদের খবর দিতে হতো। তারা এসে তারের মাধ্যমে টিভির সাথে সংযোগ দিয়ে দিত। এরপর চ্যানেলগুলোতে যা ছাড়া হতো আমাদেরকে বাধ্য হয়ে তাই দেখতে হতো। কিন্তু ওটিটি প্লাটফর্মগুলো আসার পর এখন শুধু আমাদের দরকার একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন। এর মাধ্যমেই আমরা নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম, ডিজনি প্লাস, হটস্টার, বিঞ্জ, বায়োস্কোপ থেকে বিখ্যাত মুভি ও সিরিজগুলো উপভোগ করতে পারছি।

প্রযুক্তির সহজলভ্যতার সাথে সাথে বাড়ছে ওটিটি প্লাটফর্মের চাহিদা; Image Courtesy: learningrevolution.net

ওটিটি প্লাটফর্মের সুবিধা

বিশ্বব্যাপী মানুষ এখন ওটিটি প্লাটফর্মগুলোর দিকে ঝুকছে। বিশেষ করে করোনা মহামারী চলাকালীন ওটিটি প্লাটফর্মগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এগুলোর মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে পছন্দমতো বিনোদনের স্বাদ নিতে পারছে৷ ওটিটি প্লাটফর্মগুলোর এই জনপ্রিয়তার পেছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যা অন্যান্য প্লাটফর্ম থেকে এই প্লাটফর্মগুলোকে আলাদা করেছে।


i) কম দামে ভালো জিনিস

আমাদের দেশে প্রচলিত ক্যাবল টিভির তুলনায় ওটিটি প্লাটফর্মগুলোর সাবস্ক্রিপশন ফি বা মাসিক খরচ অনেক কম। ক্যাবল টিভির ক্ষেত্রে, প্রথম দিন ইন্সটলেশনের সময় বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়, আবার মাসিক খরচ তো আছেই। কিন্তু ওটিটি প্লাটফর্ম গুলোতে এ ধরণের কোনো ঝামেলা নেই। অধিকাংশ প্লাটফর্মে এখন মাসিক ফি এর পাশাপাশি বাৎসরিক ভাবেও টাকা দেয়ার ব্যবস্থা থাকে, যার ফলে খরচ আরো কমে যায়।


ii) ভিডিও কোয়ালিটি

ক্যাবল টিভির তুলনায় ওটিটি প্লাটফর্মগুলোর ভিডিও কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে স্মার্ট টেলিভিশনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সকল স্মার্ট টিভির রেজুলেশন প্রচলিত টিভি থেকে অনেক বেশি। ফলে ক্যাবল টিভির কম রেজুলুশনযুক্ত চ্যানেলগুলো খুবই বাজে দেখা যায়। অনেক সময় স্ক্রিনে প্রদর্শিত তথ্যগুলো ঠিকভাবে পড়াও যায় না। কিন্তু ওটিটি প্লাটফর্ম গুলোতে বর্তমানে ফুল এইচডি থেকে শুরু করে আল্ট্রা এইচডি পর্যন্ত রেজুলেশনে ভিডিও দেখা যায়। যা ভিডিওর মানকে আগের চেয়ে অনেক উন্নত করে দেয়।

টেলিভিশনের তুলনায় ওটিটি প্লাটফর্মের ভিডিও কোয়ালিটি অনেক ভালো; Image Courtesy: gadgetstouse.com

iii) বিনোদনের স্বাধীনতা

ক্যাবল টিবির ক্ষেত্রে তারা তাদের চ্যানেলে আপনাকে যা দেখাবে আপনার তাই দেখতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার হাতে কোনো নিয়ন্ত্রন থাকে না। ওটিটি প্লাটফর্মগুলোতে এরকম কোনো ঝামেলা নেই। আপনি একই জিনিস বার বার দেখতে পারবেন এবং যতবার ইচ্ছা ততবার দেখতে পারবেন। এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতে।


iv) একাধিক ডিভাইসের সুবিধা

ওটিটি প্লাটফর্মগুলো একাধিক ডিভাইসে তাদের সেবা দিতে সক্ষম। ক্যাবল টিভি শুধু টেলিভিশন ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। অন্য কোনো মোবাইল ডিভাইস ক্যাবল টিভি হিসেবে ব্যবহার করা যেত না। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ ওটিটি প্লাটফর্ম টেলিভিশনের পাশাপাশি এন্ড্রয়েড বা আইওএস এর যেকোনো ফোন, টেবলেট, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারও তাদের সেবা দিয়ে থাকে। 

অরিজিনাল কন্টেন্টগুলো নির্দিষ্ট প্লাটফর্ম ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যায় না; Image Courtesy: netimperative. com

v) অরিজিনাল কন্টেন্ট

কিছু কন্টেন্ট (বিখ্যাত সিনেমা, নাটক, সিরিজ) আছে যেগুলো ওটিটি প্লাটফর্ম এর বাইরে আর কোথাও পাওয়া যায় না। সেগুলো ওটিটি প্লাটফর্মের নিজ উদ্যোগে তৈরি করা হয়। তাই সেগুলো দেখতে হলে আমাদের দরকার নির্দিষ্ট ওটিটি প্লাটফর্মের সাবস্ক্রিপশন। এই কন্টেন্টগুলোকেই বলা হয় অরিজিনাল কন্টেন্ট। যেমন: Stranger Things এবং Wicher এই দুইটি জনপ্রিয় সিরিজ নেটফ্লিক্সের অরিজিনাল কন্টেন্ট। এগুলো দেখতে হলে অবশ্যই আপনার নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন লাগবে।

ওটিটি প্লাটফর্মের কিছু অসুবিধা

ওটিটি প্লাটফর্মগুলোর এই সুবিধাগুলোর পাশাপাশি কিছু উল্লেখযোগ্য অসুবিধাও রয়েছে।

i) ইন্টারনেট নির্ভর

ওটিটি প্লাটফর্ম গুলোর বড় একটি অসুবিধা হলো এটি ইন্টারনেট নির্ভর। ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া আপনি এই প্লাটফর্মগুলো ব্যাবহার করতে পারবেন না। উন্নত বিশ্বে ইন্টারনেট অনেক সহজলভ্য হলেও আমাদের দেশে এখনো ইন্টারনেট সেভাবে পৌছাতে পারেনি। তাই এখনো বাংলাদেশের অনেকের কাছেই এই ওটিটি প্লাটফর্মগুলো বেশ কিছুদিন অপিরিচিতই থেকে যাবে।

ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ অপরিহার্য; Image Courtesy: cnbctv18.com

ii) দুর্বল নেট কানেকশন

ওটিটি প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে এখন শুধু ইন্টারনেট কানেকশন থাকাই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ থাকাটাও জরুরি। এই ওটিটি প্লাটফর্মগুলো হলো ইউটিউবের মত স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম। অর্থাৎ, সেখানে ডাউনলোডের কোনো অপশন থাকেনা, যা দেখার তা সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখতে হয়। তাই সেগুলো দেখতে হলে ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগের দরকার পরে। যা আমাদের দেশে অনেকেরই নেই।


iii) অতিরিক্ত আসক্তি

ওটিটি প্লাটফর্ম গুলো আমাদের মনে অতিরিক্ত আসক্তি সৃষ্টি করতে পারে। মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য এই প্লাটফর্মগুলোতে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন নাটক, সিনেমা, সিরিজ ইত্যাদি প্রচার করা হয়। ফলে বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় রাও এগুলোর প্রতি অনেক আসক্ত হয়ে পরে। এটা তখন আর বিনোদনের পর্যায়ে থাকে না বরং নেশায় পরিণত হয়।


iv) অনলাইন নিরাপত্তার অভাব

যদিও অধিকাংশ ওটিটি প্লাটফর্মই তাদের কাস্টোমারদের অনলাইনে সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। তবে কিছু নতুন প্লাটফর্ম তাদের কাস্টোমারদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের অপব্যবহারও করতে পারে। অনেক সময় নিরাপত্তার অভাবে সে তথ্য হ্যাকারদের হাতেও তথ্য চলে যেতে পারে। সে তথ্য ব্যবহার করে হ্যাকাররা ব্যাক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে।

ওটিটি প্লাটফর্ম ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে; Image Courtesy: accedo.tv

জনপ্রিয় কিছু ওটিটি প্লাটফর্ম

ওটিটি প্লাটফর্মের কথা আসলেই যে নামটি সবার প্রথমে মাথায় আসে তা হলো নেটফ্লিক্স। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত নেটফ্লিক্স হলো একটি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওটিটি প্লাটফর্ম। এটি বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওটিটি হিসেবে গণ্য। হাতে গোনা কিছু দেশ বাদে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নেটফ্লিক্স এর ব্যবহারকারী রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে নেটফ্লিক্সের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ কোটিরও অধিক। নেটফ্লিক্স এর এত জনপ্রিয়তার পেছনে দায়ী হলো এর বিশ্ববিখ্যাত সব অরিজিনালস। Stranger Things, The Crown, The Witcher এর মত নেটফ্লিক্স এর সিরিজগুলো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নেটফ্লিক্স এর পরিধি এত ব্যাপক যে এটা আলাদা একটি আর্টিকেল লিখা সম্ভব। তাই সে বিষয়ে আরেকদিন আলোচনা করা যাবে। 

বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্স; Image Courtesy: undubzapp. com

নেটফ্লিক্স এর পর যে প্লাটফর্মটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে সেটি ডিজনি প্লাস। ডিজনি প্লাস হলো বিখ্যাত ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি পরিচালিত একটি ওটিটি প্লাটফর্ম। এটি প্রথম তার যাত্রা শুরু করে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর। এরপরই এটি খুব দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরতে থাকে। ভারতে এটি প্রথমে হটস্টার নামে প্রচার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ডিজনি প্লাস হটস্টার নাম রাখা হয়। ডিজনী প্লাসের এত জনপ্রিয়তার পেছনে কারণ হলো ওয়াল্ট ডিজনির বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা। পিক্সার, মার্ভেল স্টুডিও, স্টার ওয়ারস, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ইত্যাদি বিখ্যাত সব ব্র্যান্ড ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির মালিকানাধীন। ডিজনি প্লাস মেম্বারশিপের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই এই ব্র্যান্ডগুলোর কন্টেন্ট উপভোগ করতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে ডিজনি প্লাসের ব্যাবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। এছাড়াও, আমাজন প্রাইম, হু লু, এইচবিও, ইএসপিএন প্লাস ইত্যাদি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম হিসেবে গণ্য।

ডিজনি হটস্টারের হোমপেজ; Image Courtesy: gizmochina. com

বাংলাদেশে ওটিটি প্লাটফর্ম

আমাদের দেশে দিন দিন ইন্টারনেট আগের থেকে অনেকটাই সহজলভ্য হচ্ছে। বিধায় ওটিটি প্লাটফর্মগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক মানুষই এখন ক্যাবল টিভির যুগ থেকে বেড়িয়ে এসব ওটিটি প্লাটফর্মগুলোতে ঢুকছে। বিদেশি প্লাটফর্মগুলোর পাশাপাশি দেশীয় প্লাটফর্মগুলোও সমান ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমাদের দেশে, দেশীয় যে দুইটি ওটিটি প্লাটফর্ম বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তা হলো; বঙ্গো এবং বায়োস্কোপ।

বঙ্গ হলো দেশের প্রথম সারির ওটিটি প্লাটফর্মগুলোর একটি। ২০১৩ প্রতিষ্ঠিত এই ওটিটি প্লাটফর্মটির বর্তমান ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। এটি তৈরি করা হয়েছিল মূলত সারাবিশ্বে বাংলাভাষাভাষীদের টার্গেট করে। দেশীয় প্রায় সকল জনপ্রিয় সিনেমা, নাটক ও টেলিফিল্ম, ওয়েব সিরিজ, মিউজিক ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ওয়াজ ইত্যাদি কন্টেন্ট এখানে দেখতে পারবেন।

বাংলা ভাষাভাষীদের বিনোদনের জন্য গড়ে উঠেছে নানা ওটিটি প্লাটফর্ম; Image Courtesy: progressbangladesh.com

জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বায়োস্কোপও কম যায়না। গ্রামীণফোন বাংলাদেশ কর্তৃক নির্মিত এই ওটিটি প্লাটফর্মটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালে। এরপরই এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বায়োস্কোপের বিশেষত্ব হলো, এটি বাংলাদেশের মানুষ বিনামূল্যে ব্যাবহার করতে পারবে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটি গ্রামীণ সিমকার্ড লাগবে। সেই কার্ডের মাধ্যমে ৯ টাকা দিয়ে এই প্লাটফর্মটি তিন দিন ব্যবহার করা যাবে। বঙ্গ ও বায়োস্কোপ ছাড়াও সিনেস্পট, টেলিফ্লেক্স, ভারতীয় কিছু প্লাটফর্ম যেমন হই চই, জি ফাইব ইত্যাদি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।



কীভাবে ওটিটি প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে হয়?

যেকোনো ওটিটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হলে প্রথমে সেই প্লাটফর্মে একাউন্ট/আইডি রেজিস্টার করতে হবে। দেশীয় প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে সেই প্লাটফর্মগুলোর ওয়েবসাইট অথবা এপ্লিকেশনের মাধ্যমে সাইন আপ করতে হবে এবং বিকাশের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।

সময়ের সাথে সাথে ওটিটি প্লাটফর্মের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে; Image Courtesy: drishtibhongi.in

বিদেশি প্লাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্সের ক্ষেত্রে সাইন আপ করার পাশাপাশি পেমেন্টের জন্য ক্রেডিট কার্ড বা মাস্টার কার্ড এর নাম্বার প্রদান করতে হয়। মাস্টার কার্ড ছাড়া এসকল প্লাটফর্মে সাবস্ক্রাইব করা সম্ভব নয়। তবে বর্তমানে অনেক ফেসবুক পেইজ আছে যারা আপনার হয়ে মাস্টার কার্ডের কাজটি করে দিতে পারে। এরপর আপনি আপনার আইডি দিয়ে স্মার্টটিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা যেকোনো ডিভাইসে লগ ইন করে এই প্লাটফর্মগুলো উপভোগ করতে পারবেন।


Feature Image Courtesy: livemint.com